ঢাকা,রোববার, ১০ নভেম্বর ২০২৪

বঙ্গবন্ধুর অবিনাশী চেতনা মুছে ফেলা যাবে না -জাতীয় শোক দিবসের আলোচনায় জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি :: ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে একটি চক্র বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে মুছে ফেলার পাশাপাশি বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চেয়েছিল। কিন্তু ব্যর্থ হয়েছে তারা। বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশ এই দুটিকে আলাদা করা যাবে না। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কেবল একজন ব্যক্তি নন, এক মহান আদর্শের নাম। যে আদর্শে উজ্জীবিত হয়েছিল গোটা দেশ। বঙ্গবন্ধু বাংলার প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে একটি অবিনাশী চেতনা। এ চেতনা কখনো মুছে ফেলা যাবে না। তিনি চিরঞ্জীব। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এ জন্য শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।’

শনিবার (১৪ আগষ্ট) বিকালে কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাৎবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা এ কথা বলেন।

জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান।

জেলা আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক এম.এ মনজুরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ চৌধুরী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সালাহ উদ্দিন আহমদ সিআইপি, সাবেক সাংসদ অধ্যাপিকা এথিন রাখাইন, সহ-সভাপতি এম. আজিজুর রহমান, এড. বদিউল আলম সিকদার, রেজাউল করিম, আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি, আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ রফিক এমপি, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব.) ফোরকান আহমদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল হক মুকুল, এড. রনজিত দাশ, প্যানেল মেয়র মাহবুবুর রহমান চৌধুরী, এইচ.এম ইউনুস বাঙালি, প্যানেল মেয়র হেলাল উদ্দিন কবির, কাজী মোস্তাক আহমদ শামীম, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. নজিবুল ইসলাম চৌধুরী, মিজানুর রহমান, বদরুল হাসান মিলকী, সোহেল আহমদ বাহাদুর, জহিরুল ইসলাম সিকদার, এস,এম সাদ্দাম হোসেন ও মারুফ আদনান।

সভায় জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিকদের নতুন করে শপথ নিতে হবে। নতুন প্রত্যয়ে বলীয়ান হয়ে শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করে বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে হবে। বঙ্গবন্ধুর কাঙ্ক্ষিত অর্থনৈতিক মুক্তি এনে দিতে পারলেই জাতির পিতার আত্মা শান্তি পাবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘মৃত্যুশয্যায় বঙ্গবন্ধুর তর্জনী যে নতুন সূর্যোদয়ের ইশারা দিয়ে গিয়েছিল, কাল থেকে কালান্তরে এসে তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে উন্নয়নের স্টিমারে করে সম্মুখ পানে সওয়ার করে চলেছেন। তিনি আগস্ট বেদনার মহাকাব্যের শোককে চিরধার্য শক্তিতে রূপায়িত করেছেন বলেই বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে নিজের অস্তিত্বের জানান দিচ্ছে।’

সভায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান বলেন, জিয়াউর রহমান, ‘হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ও খালেদা জিয়া তাদের শাসনামলে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি মুছে ফেলতে চেয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের দেশ-বিদেশে সরকারি চাকরি দিয়েছে। এখন বড় বড় কথা বলছে তারা। আওয়ামী লীগ এমন একটি রাজনৈতিক দল যেটি ক্ষমতায় থাকুক বা না থাকুক, সব সময় মানুষের পাশে থাকে। এ সরকারের আমলে খাদ্য নিরাপত্তায় অভাবনীয় সাফল্য অর্জিত হয়েছে। মানুষের জীবনযাত্রার মান অনেক উন্নত হয়েছে। দেশে আর কোনো দিন দুর্ভিক্ষে কেউ মারা যাবে না।

তিনি আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর হৃদয়জুড়ে ছিল শোষণ-বঞ্চনা-অসাম্যহীন এক বাংলাদেশ। বাংলার মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি, সুবিধাবঞ্চিতদের কল্যাণ, নারীর ক্ষমতায়ন এবং অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র গঠেনে নিজের জীবন উৎসর্গ করে দেওয়া এ মহান নেতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। দলে যেন আর খন্দকার মোশতাকের মতো কোন বেঈমান ষড়যন্ত্র করতে না পারে সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকার আহবান জানান তিনি।’

এসময় উপস্থিত ছিলেন ড. নুরুল আবছার, এড. সুলতানুল আলম, এটিএম জিয়া উদ্দিন চৌধুরী, বাবু উজ্জ্বল কর, আমিনুর রশীদ দুলাল, টিপু সুলতান চেয়ারম্যান ও কাউন্সিলর শাহেনা আক্তার পাখিসহ পৌর আওয়ামী লীগের বিভিন্ন ওয়ার্ডের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামী লীগের অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের শত শত নেতাকর্মী।

 

পাঠকের মতামত: